দিন ৫ – পরিকল্পনাকারীর একটি নাম আছে

দিন ৫ – পরিকল্পনাকারীর একটি নাম আছে

আপনি কি কখনও স্রষ্টার সম্পর্কে শুনেছেন? তার কি নাম আছে? 

হয়তো এটি আপনার কাছে অবাক হওয়ার বিষয় নয়: এই সৃষ্টিকর্তার একটি পরিচিত নাম আছে: ঈশ্বর।

ঈশ্বর সম্পর্কে আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।
এই ছবি সঠিক ধারণার উপর ভিত্তি করে কিনা তা জানতে পড়ুন।

শুধু এখানে যা লেখা হয় তা গ্রহণ না করে বরং সমালোচনাকারী হোন। এটা নিশ্চিত করুন যে ঈশ্বর সম্পর্কে সব সত্য আপনি নিজে জানবেন, সময় ব্যয় করে তাঁর সঠিক পরিচয় বের করবেন। খোলা মন দিয়ে থাকুন এবং আপনার ধারণা এবং অন্যদের থেকে আপনার গৃহীত বিষয় গুলো দিয়ে আপনার অনুসন্ধানকে সীমিত করবেন না।

কেন ঈশ্বর নিজেকে দেখাবেন না?

আপনি কি ভাবছেন যে কেন ঈশ্বর কে দেখতে পাচ্ছেন না?এটা দেখতে খুব সহজ হবে তিনি কে।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? তিনিতো সবকিছুর চেয়ে সর্বশক্তিমান।যদি সূর্যকেই অন্ধ না হয়ে দেখতে এত কঠিন মনে হয়, তবে ঈশ্বরকে অবলোকন করা কতটা কঠিন হতে পারে, যিনি এই সূর্যকে বানিয়েছেন ‘অন্ধ’ না হয়ে। 

এ ছাড়াও, যদি আমরা নিজের চোখে ঈশ্বরকে দেখতে পাই, তাহলে আমাদের নির্বাচন করার স্বাধীনতা খুব একটা স্বাধীন হবে না । আপনি হয়ত স্বভাবতই তাঁর প্রতি আনুগত্য হবেন ।তাঁর দৃশ্যমান উপস্থিতি ছাড়াই, আপনি আপনার বাস্তব প্রকৃতি প্রদর্শন করবেন। অনেকটা বাবা মা বাড়িতে না থাকলে বাচ্চারা যেমন কিছু সময়ের জন্য একা হয়ে যায়… তখন তারা কি করতে পছন্দ করে?

মহাবিশ্ব নির্দেশ এবং অবয়বের সাথে গঠিত হয়েছে। এমন আইন সমূহ রয়েছে যা “সঠিক” এবং “ভুল” এ প্রয়োগ করা হয়। প্রত্যেক মানুষের ভালো এবং খারাপ চেতনা রয়েছে। যদি ঈশ্বর এই সবকিছুর পরিকল্পক হয়ে থাকেন, তবে এটা কোন ভাবেই সম্ভব না যে তিনি অন্যদের থেকে ন্যায় পরায়ণ নন। তিনি কোন ক্ষতিপূরণ ছাড়া কোন ভুল ক্ষমা করে দিতে পারেন না- যদি তিনি দিতেন, অন্য কোন ব্যক্তি তাঁহাকে একই আচরণের জন্য আপিল করতে পারে এবং ফলস্বরূপ যে সকল ভুল জিনিসগুলি উপেক্ষা করা হবে এবং অবিচারই প্রযোজ্য হবে।

 

ছোট কিংবা বড় সেটা কোন ব্যাপার না, যে কোন ধরনের লঙ্গনের পরিণামের জন্য আপনি সমান ভাবে দায়ী।

যেহেতু সমস্ত মানুষ নিজেদেরকে স্বাধীন ভাবে পছন্দ করে, প্রত্যেক ব্যক্তি তার সৃষ্টিকর্তাকে আগে বা পরে উপেক্ষা করে থাকে ।এমনকি অবাধ্যতা হালকা ফল স্বরূপ, প্রতিটি ভুল  আপনাকে কুলুষিত করে, এবংআপনি আর ঈশ্বরের পূর্ণতা থেকে বঞ্চিত এবং ন্যায় বিচার এর মুখোমুখি হবেন।  

আপনি যদি তা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক থাকেন যে এমন একজন ঈশ্বর আছেন যিনি সব কিছুর স্রষ্টা,তবে আপনি তাঁর সৃষ্টি এবং প্রকৃতির আইনের মাঝে তাঁর উপস্থিতি উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন ।

মহা পরিকল্পনা

আমাদের পছন্দসই স্বাধীনতার ফলাফল, বিপর্যয়কর বলে মনে হয় । প্রত্যেক মানুষ ঈশ্বরের নিয়ম অমান্য করবে এবং তাই শেষ পর্যন্ত তাঁর সামনে পুরোপুরি ধার্মিক হয়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না। 

এটির আরও একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা: ঈশ্বরের পরিকল্পনার অমান্যকারী ফলাফল হবে শাস্তি। কিছু লোক শত শত মানুষের হত্যার জন্য দায়ী।এটা সুস্পষ্ট যে তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।কিন্তু একটি ছোট লঙ্ঘন এবং একটি বড় লঙ্ঘন এর মধ্যে পার্থ্যকের লাইন কোথায়?

যেমনটি আগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ঈশ্বর আমাদের “কালো এবং সাদা” এর অবিচ্ছেদ্য সৃষ্টিকর্তা। মূলত ইচ্ছার স্বাধীনতার কারণেই, তাঁর সৃষ্টি তাদের নিজের মত স্বাধীন হওয়ার পছন্দ বাছাই করে নেয়। তারা তাদের নিজস্ব জীবন নিজের মত করতে চান।

এমনকি অবাধ্যতাই হলো ক্ষুদ্রতম আকার, জীবনে কোন ভুল করে ফেলার জন্য যেটি আপনাকে অশুদ্ধ করবে এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের মুখোমুখি করতে আপনাকে অক্ষম করবে। এই সমস্যা নিজেরমত ঠিক করার কোন উপায় নেই।

কিন্তু যদি ঈশ্বর, আপনার পরিকল্পক আপনার তত্ত্বাবধান করে? সবশেষে আপনি তাঁরই সৃষ্টি । তিনি আপনাকে বানিয়েছেন!

যদি তিনি সমগ্র জগৎ কে তাঁর সমস্ত প্রাণীর প্রতি তাঁর মহত্ত্ব দেখানোর জন্য তৈরি করেন, আপনার নিকট পৌঁছানোর জন্য?

কি হবে যদি ঈশ্বর চায় আপনাকে তাঁর সাথে সংযুক্ত করতে? এমন না যে এটি তাঁর প্রয়োজন, কারণ তিনি আপনাকে ভালোবাসেন?

 

তাহলে এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে? তাই পড়ুন বিশ্বের বৃহত্তম পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে।

মন্দ এবং ভালোর কোন ভারসাম্য হয় না

যদি কেউ অন্য কারও ক্ষতি করে, তাদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হবে একটি অজুহাত যেটি হয়ত ঠিক করা যেতে পারে, কিন্তু যদি কিছু ভঙ্গ করা হয়,তবে ক্ষতিপূরণ প্রত্যাশিত হবে।

ঈশ্বরের সাথে, এটা ভিন্ন- তিনি একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশ্বস্ত সম্পর্ক আশা করেন। আমরা মানুষ হিসেবে হয়ত এই মান বজায় রাখতে পারি না। সত্যি বলতে কি, প্রত্যেক মানুষের কিছু কমতি রয়েছে এবং প্রায়ই তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে কাজ করে।

ঈশ্বরের সঙ্গে, ভাল এবং মন্দের মধ্যে কোন ভারসাম্য নেই- তিনি আপনার এবং তাঁর মধ্যে একই ঐক্যমতের সম্পর্ক আশা করেন।
যাই হোক, আমরা শীঘ্রই অন্যান্য কারণে যেমন অর্থ, সম্পদ, ক্ষমতা, পরিবার এবং অন্যান্য সম্পর্কের দাসত্বের প্রলোভিত হই যা আমাদেরকে আবারও ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

তাই, আমরা কখনোই প্রত্যাশা অনুযায়ী ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি না। আপনি কি কখনো এমন কাউকে পেয়েছেন যে সব দিক দিয়ে উত্তম? যে ব্যাক্তি সর্বদা সঠিক কাজ টি করে এবং কাউকে আঘাত দেয় নি? সবচে ভাল তখন আপনি জানবেন যে, যত বেশি তাকে আপনি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তখন আপনি দেখবেন যে তার কোন না কোন কমতি রয়েছে বা সে তার নিজের সার্থের জন্য কাজ করছে। 

মানুষের পক্ষে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার পরিপূর্ণতা পূরণ করা সম্ভব নয়।ঈশ্বর সেই ভুলগুলি ক্ষমা করতেপারেন না যা আমরা করব এই ভেবে যে তিনি আর ন্যায় পরায়ণ নন। তাহলে এর সমাধান কি হবে?


আজকে ভাবার জন্যঃ

  • আপনি কি সমস্যা টি  ধরতে পেরেছেন?  এমন কেউ কি আছে যিনি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরকে সম্মান করে? অথবা সব মানুষই কি নিজেরদের সার্থের প্রতি যত্নবান?
  • আপনি কিভাবে ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া আর আপনার নিজের এবং ভুলত্রুটি গুলি ঠিক করতে সক্ষম হবেন ?
  • মহান পরিকল্পনায় নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন?

বাকি দিন এগুলি নিয়ে শুধু ভাবুন আর দয়া করে আগামীকাল এ ফিরে আসুন!

চালিয়ে যান দিন ৬