যীশু খ্রিষ্টের জীবন

যীশু খ্রিষ্টের জীবন

আপনি পড়েছেন যে ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্রকে মানুষ হিসেবে বসবাসের জন্য পৃথিবীতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

যীশু (খ্রিষ্ট নামেও পরিচিত যার মানে রাজা বা মেসিয়াহ) ইসরায়েলে প্রায় ২০০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছেন। আপনি বাইবেলের লুক এর বইয়ে আরও বিস্তারিত পড়তে পারেন। তাঁর প্রথম ৩০ বছর জীবনের জন্য, যীশু সাধারণ ইহুদী জীবন যাপন করেছেন, সূত্রধার হিসেবে কাজ করেছেন। এ সময়ে ইসরায়েল ছিল সিজার রোমীয় একনায়কতন্ত্রে, বেথেলহাম সহ, যেখানে যীশুর জন্ম হয়েছিল, এবং নাজারেথ, যেখানে তিনি প্রতিপালিত হয়েছিলেন।

 

তাঁর ত্রিশ বছর বয়সে যীশু তাঁর জনশিক্ষা ও নথিভুক্ত অলৌকিক প্রদর্শন শুরু করেন, তার পড়ও তিনি তাঁর জন্মস্থান থেকে ২০০মাইলে বেশী ভ্রমণ করেননি। তিন বছর সময় ব্যাপী, যীশুর সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। রোমান গভর্নররা এবং ইসরায়েলের শাসনকর্তারা এবং ইহুদীদের নেতারা (ধর্মীয় কাউন্সেল) তাঁর নোট নেয়। যীশুর মূলবাণীর মধ্যে ছিলঃ

  • ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং আপনার সাথে আছেন
  • একে অন্যকে ভালবাসো
  • প্রতিটি এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অপরিমেয় মান
  • সুখবর: ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে এসেছে
  • স্বর্গ বা নরকে বিচারের বাস্তবতা
  • যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করেন

যীশুর সবচেয়ে বড় বিতর্কমূলক কাজ ছিল তিনি বারবার নিজেকে ঈশ্বর বলছিলেন যা ইহুদী আইনের সরাসরি অমান্যতা ছিল। তাই ধর্মীয় গুরুরা রোমান গভর্ণরকে বলেন তাঁকে যেন হত্যা করা হয়। প্রতিটি অফিসিয়াল বিচারে, রোমানরা দেখেছিল যে তিনি কোন রোমান আইন ভঙ্গ করেননি। এমনকি ইহুদী নেতারা লক্ষ্য করেছিল যে একমাত্র নিজেকে ঈশ্বর দাবী করা ব্যতীত যীশু সব ইহুদী আইন খুব ভালভাবে মেনে চলছিলেন।

তবুও ধর্মীয় নেতারা, রাজনৈতিক অসঙ্গতির যুক্তি ব্যবহার করে, ইসরায়েলের দক্ষিণ অঞ্চলের রোমান গভর্ণর পিলাত কে হত্যাদেশ দেয়ার জন্য রাজি করিয়ে ফেলে।

যীশুকে নির্দয়ভাবে অত্যাচর করা হয় এবং হাতে করে ঝুলিয়ে ফেলা হয়, যা ছিল  অনুভূমিক কাঠের পাটাতন (ক্রুশ)। এমন হত্যা প্রক্রিয়া তাঁর ফুসফুসে বায়ু প্রবাহ কঠিন করে দেয়, মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে মেরে ফেলতে পারবে।  (এ বিষয়ে বাইবেকে বিস্তারিত পড়ুন; লুক ২২)

যাই হোক, ৫০০-র বেশী সাক্ষীর মতে, তিন দিন পর যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হন, এবং পরবর্তী ৪০ দিন ইসরায়েলের দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। অনেকের জন্য, এটা ছিল শেষ প্রমাণ যে ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার তাঁর দাবী মিথ্যা ছিল না। পরে যীশু জেরুজালেমে ফিরে যান, সে শহর যেখানে তিনি মাত্রই শাস্তিলাভ করেছিলেন এবং অনেক সাক্ষীর মরে, তিনি জীবিত থেকেই পৃথিবী ছেরে স্বর্গে চলে যান।  এ বিষয়ে বাইবেলে পড়ুন; শীষ্যচড়িত 1)

এসব অলৌকিক ঘটনাগুলোর ফলাফলস্বরূপ, নাটকীয়ভাবে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে গেল। কয়েক মাস পরেই একটি জরীপে দেখা যায় একই শহর জেরুজালেমে একদিনে ৩০০০ নতুন অনুসারী যোগ দেয়। ধর্মীয় নেতারা যীশুর অনুসারীদের হুমকি দিয়ে থামাতে চেয়েছিল। সেসব মানুষের অনেকেই মৃত্যু বেছে নেয় কিন্তু এটা অস্বীকার করে না যে যীশু আসলেই ঈশ্বর ছিলেন।

১০০ বছরের মধ্যে, রোমান সম্রাজ্যব্যাপী (খানিক এশিয়া, ইউরোপ) মানুষ যীশুর অনুসারী হতে লাগলো। ৩২৫খ্রিষ্টীয় সালে, যীশুর অনুসরণ, খ্রিষ্ট ধর্ম, রোমান সম্রাট কনস্টান্টটাইন এর অফিসিয়াল ধর্ম হয়ে যায়। ৫০০ বছরের মধ্যে গ্রীক দেবতাদের জন্য গ্রীসের প্রাসাদগুলো যীশুর অনুসারীদের জন্য চার্চে পরিণত হয়। যদিও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা যীশুর কিছু বাণী ও শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত বা ভুল প্রচার হয়েছিল , যীশুর আসল কথাবার্তা এবং জীবন এখনো সেগুলোর জন্য সশব্দে কথা বলে।

যীশু সম্পর্কে বিস্তারিত, ঈশ্বরের পুত্র

[wpspw_post design=”design-12″ grid=”3″ category=”54″ show_author=”false” show_date=”false” show_category_name=”false” show_tags=”false” show_comments=”false” show_read_more=”false”]

Comments are closed.